বিশেষ প্রতিনিধি->>>
করোনা মহামারীতে স্তম্ভিত বিশ্বে আনন্দের বার্তা নিয়ে আমাদের মাঝে আগমণ ঘটেছে পবিত্র ঈদুল আযহা। আর দীর্ঘ দিন পর করোনাভাইরাসের প্রকোপ থেকে পর্তুগালের পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে আসায় ঈদের আনন্দকে প্রবাসের মাঝে একে অপরের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিতে দাগনভূঞা প্রবাসী ফোরাম পর্তুগাল শাখার পরিচিতি সভা ঈদ-পূর্ণমিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
দাগনভূঞা প্রবাসী ফোরাম পর্তুগালের আয়োজনে লিসবনের বাঙ্গালী অধ্যুসিতো মাতৃ মনিজ এর টেস্ট অব লিসবন রেস্টুরেন্টে আয়োজন হয় পরিচিতি সভা, ঈদ পুনর্মিলনী ও দোয়া অনুষ্ঠান। সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মাদ ইলিয়াছ বাবু সভাপতিত্বে এবং সাধারন সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল সিপনে পরিচালনায় শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলওয়াত করেন গোলাপ হোসাইন আরিফ কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আরিফুল হক। সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের সার্বিক আয়োজনে নাহিদ উইনুস(নিবাহি সদস্য) কমিটির সদস্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সুজন চৌধরী(শ্রম বিষয়ক সম্পাদক), জিয়াউর রহমান (এ্রান বিষয়ক সম্পাদক), রবিউল আলম(সাংগঠনিক সম্পাদক), ইউনুস নাহিদ(সহ ক্রিড়া সম্পাদক), দীন মোহাম্মদ প্রচার সম্পাদক অতিথি উপস্থিতি ও বক্তব্য রাখেন রানা তসলিম উদ্দিন, (পর্তুগাল বাংলাদেশ কমিটি বিশিষ্ট ব্যাক্তিত্ত জহিরুল আলম(সভাপতি পর্তুগাল আওয়মিলীগ) জামাল ফকির (পর্তুগাল আওয়মিলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক। এতে আরো উপস্থিত ছিলেন সময় টিভির পর্তুগাল প্রতিনিধি আশিক প্রমুখ।
উক্ত ঈদ-পূর্ণমিলনী অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারন সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল সিপন। তিনি জানান, করোনা যেখানে সব কিছুর গতি পথ থেমে দিয়েছে সেখানে দাগনভূঞা প্রবাসী ফোরাম আজ সারা বিশ্বে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। পুরো বিশ্বে দাগনভূঞাবাসীকে একটি ফ্লাটফর্মে এনে যে উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে তার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই -যারা এর নেতৃত্বে রয়েছে। এখানে এসে আমরা এমন অনেকের সাথে পরিচিত হয়েছি যাদের সাথে পরিচতি হওয়ার কথা ছিলো না ।একই এলাকার হলেও অনেকে অনেককে চিনতাম না। আলহামদুলিল্লাহ কাশেম ভাইয়ের উদ্যোগে আজ আমরা দাগনভূঞা প্রায় ৭,০০০ প্রবাসী ও প্রবাসীদের শুভাকাঙ্খী আজ একত্রিত হয়েছি। শুধু একত্রিতই হই নাই। কাশেম ভাইয়ের উদ্যোগে প্রবাসীদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে,প্রবাসীদের উন্নয়নসহ নানামুখী প্রবাসীকল্যান কাজের জন্য সারাবিশ্বেই অঞ্চলভিত্তিক কমিটি গড়ে উঠতেছো আমাদের কাজের অন্যতম বৈশিষ্ট হোক কাদে কাদ মিলিয়ে কাজ করা। আমাজবপদের কাজের মাধ্যমে প্রমানিত হবে আমরা কি চাই, কি আমাদের আদর্শ। কোন ধরনের অপ্রাসঙ্গিক দিগে কান না দিয়ে আমরা আমাদের মতো কাজ করে যাবো। অনেক সংগঠন হোক তাতে আমাদের কিচু যাই আসে না। আমরা আমাদের মতো কাজ করে যাবো। যে যে সংগঠনের সাথে যুক্ত হোক না কেন তারা সকলে আমাদের ভাই। আমাদের মধ্যে কোন হিংসা নেই। আমরা হলাম সকলের তরে সকলে আমরা, প্রত্যেকে আমরা পরের তরে। পরের হিত কামনায় আমরা সর্বদায় প্রস্তুুত। কিন্তু সবার আগে যে জিনিষটি দরকার সেটা হলো ঝোট বেধে থাকা। এর কোন বিকল্প নেই। কারন কথায় আছে। দশের লাঠি একের বোঝা, জোট বাঁধিলে সবি সোজা। ধন্যবাদ সকলকে, সকলের সু-স্বাস্থ্য কামনা করি। নৈশভোজের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।